সুশোভন সিংহ; আপনার নিউজ:- ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। গণভবন অভিযানে কাতারে কাতারে মানুষ রাজপথে। এর মাঝে সেনাপ্রধানদের সাথে বৈঠকে হাসিনা। অবশেষে বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন মুজিব কন্যা। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঢাকার বাসভবন ছেড়ে বোনকে নিয়ে কপ্টারে রওনা হন শেখ হাসিনা। তার আগে তাঁকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দেয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। হাসিনা ইস্তফা দিয়েই দেশ ছাড়েন। কপ্টারে এসে পৌঁছন ভারতে। সূত্রের খবর অনুসারে ত্রিপুরার আগরতলায় নেমেছেন হাসিনা।
সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করে। ঘোষণা দেওয়া হয় গণভবনের উদ্দেশ্যে লংমার্চের। এরই মাঝে দেশটির রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে সেনা তরফ থেকে জানানো হয়,দুপুরের নাগাদ জাতি উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান। ঠিক তখনই আন্দাজ করা গেছিল কিছু বড়সড় হতে চলেছে বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলন ক্রমশই জামাত এবং বিএনপি'র আন্দোলনে প্রণীত হয়েছিল গোটা দেশে। হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
দুপুর ৩.৩০ মিনিট নাগাদ(ভারতীয় সময়) জাতি উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান। তিনি জানান, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ চালাব’’। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। তবে একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনতাকে বলেছেন হিংসা পরিহার করে সংযত হওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার। সেনাপ্রধানের আর্জি আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। ভাঙচুর করবেন না। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। এর পাশাপাশি সেনা প্রধান বললেন, ‘‘আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব।