ঢাকা:- হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সমস্যা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পথ চলা যে মসৃণ হবে না তা শুরুতেই বোঝা গিয়েছিল। এবার দেশটির রাজধানী ঢাকা উত্তাল হল আনসার বাহিনী ও ছাত্র সংঘর্ষে। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। রোববার রাতে এই সংঘর্ষে আহত হয়ে অন্তত ৫০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থী, আনসার সদস্যসহ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রয়েছেন।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বৈষম্যের শিকার। তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পরও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি। দাবি আদায়ের জন্য আজ রোববার দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিলেন না।
ছাত্র নেতা তথা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম পরামর্শদাতা নাহিদ ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে আটকে রাখা হয়েছে, এই খবর পেয়েই রাত ৯টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জড়ো হয়। তারা আনসার সদস্যদের সরানোর চেষ্টা করলেই হাতাহাতি বেঁধে যায়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। তুমুল মারপিট, ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সচিবালয় এলাকায় রোববার রাত ৯টার পর এই সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের পাশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী। পরে আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান। এ সময় অনেক আনসার সদস্য সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রহরায় সচিবালয় এলাকা ছাড়েন। অন্যদিকে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।