আপনার নিউজ ডেক্স :- সংরক্ষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের লড়াই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চরম আকার নিয়েছিল বাংলাদেশ। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা কোটা সংস্করণের বিরুদ্ধে দেশটির রাজনীতিতে গণআন্দোলন সংঘটিত করেছিল। এর ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলাদেশ। হাসিনা সরকার আন্দোলন দমনে সেনাকে মাঠে নামিয়েছে। গোটা দেশজুড়ে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
বাংলাদেশে রবিবার কোটা সংস্কার মামলার শুনানি রয়েছে। মামলাটি শুনছে সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এর মাঝে দেশ জুড়ে কার্ফুর মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, কার্ফু চলবে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত। শনিবার রাতে নতুন করে ঘোষণা হয়, কার্ফুর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কার্ফু আপাতত রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত চলবে।
ছাত্র আন্দোলনের জেরে জনজীবন ব্যাহত বাংলাদেশে। দেশটির গণমাধ্যমের হিসেবে অনুযায়ী ৩০০ এর বেশি নিহত হয়েছে এই আন্দোলনের ফলে। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সেই আপিলের শুনানি রবিবার হচ্ছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল আগামী ৭ অগস্ট। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এই শুনানি এগিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বাসভবনে জরুরি ভিত্তিতে আদালত বসেছিল। সেখানে গিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। সেখানেই স্থির হয়, রবিবার সকাল ১০টায় মামলাটির শুনানি হবে।
হাসিনা সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নীতিগত ভাবে সহমত। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও চেয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কিন্তু আন্দোলনকারীরা দাবিতে অনড় ছিলেন। রবিবার আদালতেও সরকারের তরফে সংরক্ষণ সংস্কারের পক্ষেই আবেদন জানানো হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম এম আমিন উদ্দিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁরা হাই কোর্টের রায় বাতিলের জন্য আবেদন করবেন।