কেবলমাত্র রাখিপূর্ণিমা দিন খোলা হয় এই মন্দির! কিন্তু কেন
আগস্ট ৩০, ২০২৩
0
ডেক্স রিপোর্ট:- রাখি পূর্ণিমা শুভলগ্নে প্রতিটি বোন কিংবা দিদি তাদের দাদা এবং ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আবার অন্য প্রান্তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব ধর্ম মিলন ক্ষেত্র সম্প্রীতি দিবস এই রাখি পূর্ণিমার শুভ লগ্ন। আজ আমরা এমন একটি মন্দিরের কথা আপনার সঙ্গে তুলে ধরব যে মন্দির কেবলমাত্র রাখি পূর্ণিমার দিন খোলা হয়।
উত্তরাখণ্ডের বংশী নারায়ণ মন্দির, জনমানবহীন পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে এই মন্দিরটি। সারা বছর এই মন্দিরে দরজা সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য বন্ধ থাকে তবে রাখি পূর্ণিমার দিন কথিত আছে এই মন্দিরে পুজো দিলে ভাই বোনদের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর এবং গভীর হয়, সেজন্যে রাখির দিন এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম দেখা যায়।
এবার দেখে নিন ঠিক কোথায় অবস্থিত,সবার পক্ষে এখানে পৌঁছানো মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। মন্দিরে যাওয়ার জন্য অন্তত ১০-১২ কিমি পায়ে হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। আর সেই হাঁটা পথও একেবারেই সহজ নয়। উত্তরাখন্ডের যোশীমঠ অঞ্চলে পৌঁছে এই মন্দিরের জন্য যাত্রা শুরু করতে হয়। বছর ভর কেউ এই পথ না মারালেও, রাখির দিন বা ওই সময় এখানে ভালমতোই ভিড় চোখে পড়ে। মন্দিরটি উরগাম ভ্যালির কাছে অবস্থিত।
কথিত আছে, বামন অবতার থেকে পুনরায় স্বমূর্তি ধারণ করে সর্বপ্রথম এই মন্দিরে এসেছিলেন দেব শ্রী বিষ্ণু। আর সেই দিনটি ছিল পবিত্র রাখি পূর্ণিমার দিন। সেই হিসাবেই রাখির দিন। আর সেই থেকেই মন্দির খোলার নিয়ম চালু করা হয়। তবে মন্দিরটি ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল সেই নিয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। উত্তরাখণ্ডের চামবোলি জেলায় অবস্থিত এই মন্দির। পুরাণের কাহিনি অনুসারে মহাভারতের কালে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। মনে করা হয় এই মন্দিরে দেবর্ষি নারদ বছরের অন্য দিনগুলিতে নারায়ণের পুজো করেন। তাই সেই সব দিনে সাধারণ মানুষের সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এই মন্দিরে পুজো দেওয়ারও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যা আপনাকে যানতে হবে। মূলত দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় দিদি বা বোন এখানে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরে বিষ্ণুদেবের এক অতি প্রাচীন বিগ্রহ রয়েছে। সেই মূর্তিতে রাখি ছুঁইয়ে তা বাড়িতে গিয়ে দাদার হাতে পরানোর হয়। আর সেইসঙ্গে মন্দির লাগোয়া গুহায় রেখে আসতে হয় মাখন। কেউ চাইলে মাখন দিয়ে তৈরি কোনও পদও সেখানে রাখতে পারেন। মনে করা হয়, এই মন্দিরের আরাধ্য ভোগ হিসেবে মাখন পছন্দ করেন সবথেকে বেশি।
Tags