Type Here to Get Search Results !

মালদায় প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী-কোন্দল, দিলীপ গোষ্ঠী, শুভেন্দু গোষ্ঠী তার প্রতিফলন হচ্ছে খোঁচা তৃণমূলের

এবার প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী-কোন্দল, কর্মী সভায় ডাক না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে খাওয়া-দাওয়ার বৈঠক বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার, দিলীপ গোষ্ঠী, শুভেন্দু গোষ্ঠী তার প্রতিফলন হচ্ছে খোঁচা তৃণমূলের



মালদা;তনুজ জৈন;৩০আগস্ট: এবার গেরুয়া শিবিরে প্রকাশ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত। কর্মী সভায় ডাক না পাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল।দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি নেতৃত্ব।মন্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা।পাল্টা সাফাই অপরপক্ষের।লোকসভার আগে অস্বস্তি তে গেরুয়া শিবির। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই খোঁচা তৃণমূলের।তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।বুধবার উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার অন্তর্গত মন্ডল ২ এর কর্মীসভা ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর সংগঠন সমিতিতে।সেখানে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের সম্বর্ধনাও দেওয়া হয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।মন্ডল সভাপতি অজয় পাশওয়ান সহ অন্যান্য মন্ডল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে হয় এই কর্মসূচি। তবে এই দিনের কর্মসূচিতে দেখা যায় নি হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির দুই বর্ষিয়ান নেতা তথা অতি পরিচিত মুখ রুপেশ আগরওয়াল এবং কিষাণ কেডিয়াকে।আর তাদের অনুপস্থিতির কারণেই প্রকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনা।যদিও মন্ডল সভাপতি অজয় পাশওয়ানের দাবি তিনি সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন এই বৈঠকে আসার জন্য।যারা আসেন নি তারা কেন আসেন নি তিনি বলতে পারবেন না।অন্যদিকে কিষান কেডিয়ার দাবি দলীয় নেতৃত্ব তাকে এই বৈঠকের ব্যাপারে জানিয়ে ছিল। শারীরিক কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন প্রশ্ন নেই। তবে একদমই অন্য সুর শোনা গেছে রুপেশ আগরওয়ালের গলায়।মন্ডল সভাপতি এবং মন্ডল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ এই বৈঠকের ব্যাপারে তাকে কেউ জানায় নি।এমনকি শুধু তিনি নন অনেক কর্মীরাই বৈঠকের ব্যাপারে জানে না।সাথে এই বৈঠকে খাওয়া দাওয়ার বৈঠক বলে কটাক্ষ করেছেন রুপেশ বাবু।আর বর্ষিয়ান এই বিজেপি নেতার গলায় অভিমানের সুর শোনা যেতেই গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের।যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।সাথে প্রশ্ন উঠেছে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণেই কি পঞ্চায়েতে ফলাফল খারাপ হলো বিজেপির। কংগ্রেস সিপিআইএম জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে বিজেপির উপ-প্রধান হলেও গত পঞ্চায়েতের তুলনায় হরিশ্চন্দ্রপুরে চারটি আসন কমেছে বিজেপির। যদিও এই ত্বত্ত মানতে নারাজ গেরুয়া নেতৃত্ব।


বিজেপি মন্ডল সভাপতি অজয় পাশোয়ান বলেন, আমাদের আজকের জয়ী প্রার্থীদের সম্বর্ধনা এবং লোকসভা নিয়ে একটি কর্মী সভা বৈঠক ছিল। আমাদের অফিস সেক্রেটারি সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে হয়তো কেউ কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন ব্যাপার নেই।


জেলা বিজেপি কমিটি সদস্য তথা চাঁচল বিধানসভার পর্যবেক্ষক কিষান কেডিয়ার দাবি, আমাকে মন্ডল সভাপতি এবং জেলার যুব সভাপতি ফোন করেছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে আমার শরীর খারাপ। তাই আমি যেতে পারিনি। আমাদের গোষ্ঠীর কোন ব্যাপার নেই। এটা তৃণমূলের অপপ্রচার।


যদিও বিজেপি নেতা রুপেশ আগরওয়ালের অভিযোগ, এই বৈঠকের কোন সূচনা আমার কাছে আসেনি। অনেক কর্মীরাই সেটা জানে না। এটা বৈঠক না খাওয়া দাওয়ার বৈঠক সেটাও জানি না। কেউ যদি নতুন করে বিজেপি করতে চায় তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমি কোন গোষ্ঠীতে নেই আমি শুধু দলকে বুঝি।


জেলা ছাত্র তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ মহলদারের কটাক্ষ, সারা ভারত জুড়েই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ।এই রাজ্যেও একাধিক গোষ্ঠী। শুভেন্দু সুকান্ত দিলীপের আলাদা আলাদা গোষ্ঠী। হরিশ্চন্দ্রপুরেও তার প্রতিফলন হচ্ছে।"


প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপির উত্থানের অন্যতম কান্ডারী হলেন রুপেশ আগরওয়াল এবং কিষান কেডিয়া। ব্লক এবং জেলা স্তরে সংগঠনের দায়িত্বও সামলেছেন এই দুই নেতা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিজেপিতেও আদি নব্যের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যদি না হয়ে থাকে তবে কেন ডাকা হলো না রূপেশ আগরওয়ালা কে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side