মালদা;তনুজ জৈন;২১নভেম্বর: লাগাতার খবরের জের এবং এলাকাবাসীর আন্দোলনের চাপ।দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে মাথা নোয়ালো ঠিকাদারি সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ্যে আনা হলো রাস্তার কাজের সিডিউল।সেই সিডিউলের পোস্টারে ছয়লাপ সম্পূর্ণ এলাকা। মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে বিভিন্ন দেওয়ালে সিডিউল টাঙিয়ে দিল পুলিশ নিজে। ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না। বাংলার এই প্রচলিত প্রবাদ বাক্যতেই ঠিকাদারী সংস্থা এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কটাক্ষ এলাকাবাসীর।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শহীদ মোড় থেকে হাসপাতালগামী রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে চলছে বিতর্ক। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে যে ঘটনা।এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল নিয়ম না মেনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদার। উঠে যাচ্ছিল পিচের চাঙর। কিন্তু বারবার দাবি উঠলেও প্রকাশ্যে আনা হচ্ছিল না সিডিউল। তার মাঝে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী।একবার তদন্তে আসে ব্লক প্রশাসন। পরবর্তীতে আসেন ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা সওয়াল করেন ঠিকাদারের পক্ষে। এমনকি তারা বলেন সিডিউল টাঙ্গানোর কোন নিয়ম নেই। যা নিয়ে ফের ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়।সেই খবরও সম্প্রচারিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। সেই লাগাতার খবরের জেরে অবশেষে লাগানো হলো সিডিউল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সিডিউলের পোস্টার লাগিয়েছে। খুশি এলাকাবাসী।ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি সিডিউল টাঙিয়ে কাজ হোক এটাই কাম্য।সাথে এলাকাবাসির কটাক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা এসে নেতাদের বাড়িতে চা খেয়ে ভাগ নিয়ে চলে গেছিল। কিন্তু এখন বাধ্য হল। লাগাতার খবরের জেরে। সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।