মালদা:- রাজ্য জুড়ে চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ শিশুকে রেফার করা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হল পুরাতন মালদায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা এবং গালিগালাজ করার অভিযোগ রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। পাল্টা, চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বুধবার মালদেহ মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে পুরাতন মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি চার বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন অভিভাবকেরা। শিশুটি জ্বরে ভুগছে। অভিযোগ, এক জন চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করে নেন। কিন্তু আর এক জন চিকিৎসক শিশুটিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ‘রেফার’ করে দেন। এ নিয়ে দুই তরফের কথা কাটাকাটি হয়। অরিন্দম চাকী নামে চিকিৎসকের দাবি, তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন রোগী পরিবারের সদস্যেরা। গালাগালি করা হয়। পাল্টা রোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের কার্যত ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বার করে দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়েরা তাঁর উপর চড়াও হন। উত্তেজিত হয়ে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল মালদহ থানার পুলিশ। আক্রান্ত চিকিৎসক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অপর দিকে, ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগে মালদহ মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে শোরগোল শুরু হয়েছে। শফিকুল ইসলাম নামে ৩৫ বছরের এক যুবক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মানিকচকের বড়বাগান এলাকার বাসিন্দাকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তোলে পরিবার।