তনুজ জৈন; মালদা( চাঁচল ): সাপ্তাহিক হাটের ঘর বন্টন নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ, ডাকের নাম করে মোটা টাকার বিনিময়ে বহু ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে ঘর, বঞ্চিত থাকছেন প্রকৃত হাট ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ তৃণমূলের একাংশ। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের চাঁচলে। সমগ্র ঘটনায় সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
মালদার চাচল সাপ্তাহিক হাটে, হাট ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে প্রায় ৯ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দে ভবন নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধন করেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। যারা দীর্ঘদিন ধরে হাট করে আসছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদেরই পাবার কথা নতুন ঘরগুলো। কিন্তু এবার এই ঘর বন্টন নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। আশঙ্কা করা হচ্ছে ডাকের নাম করে মোটা টাকার বিনিময়ে হাটের বাইরের বহু ব্যক্তিকে ঘর পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যারা হাট ব্যবসায়ী তারা বঞ্চিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মর্মেই তৃণমূলের সামসি হাটওয়ারি ইউনিয়নের চাঁচল শাখার পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত বিষয়ে তারা মহকুমা শাসক কে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। এই হাট মালদা জেলা ডেলি রেগুলেটেড মার্কেটের আওতায় পড়ে। যার চেয়ারম্যান রয়েছেন জেলাশাসক। এই ডেপুটেশন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমুলের সহকারী সভাপতি মানবেন্দ্র ব্যানার্জি, তৃনমূল নেতা দেবব্রত সিংহ প্রমুখ। তারা বলেন ___ তৃণমূলেরই কিছু জনপ্রতিনিধি টাকার বিনিময়ে যার হাট করেনা এমন ব্যক্তিদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অ্যাড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিলামের ডাক দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যারা দৈনন্দিন ব্যবসায়ী তাদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে ঘর দেওয়া হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়ে যাতে হাট ব্যবসায়ীরায় ঘর পায়। প্রশাসনকে সেই পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। তাদের দাবি যদি এক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সমগ্র ঘটনায় সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ।