বালুরঘাট:- আজ সারা রাজ্যের পাশাপাশি পতিরামে অনুষ্ঠিত হল নিখিলবঙ্গ মেধা অন্বেষণ পরীক্ষা। সেন্টারে গিয়ে জানা গেছে এই পরীক্ষায় পতিরামে দুটো সেন্টারে মোট 736 জন পরীক্ষার্থীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রায় 96% পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। দ্বিতীয় , তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে। বালুরঘাট পূর্ব চক্র ও কুমারগঞ্জ চক্রের বিভিন্ন প্রান্তের শিশু শিক্ষার্থীরা এই দুটো সেন্টারে পরীক্ষা দিতে এসেছে।
বালুরঘাট পূর্ব চক্রের সেন্টার ইন চার্জ শুভাশীষ সাহা জানিয়েছেন গতবছর থেকে আমরা সারা রাজ্যে এই মেধা অন্বেষণ পরীক্ষার আয়োজন করেছি। এবছর নির্বিঘ্নে আমাদের সেন্টারে পরীক্ষা সুসম্পন্ন হয়েছে। সকল শিশুদের চকোলেট ও কলম উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই দুটো সেন্টারে 75 জন ইনভিজিলেটর নিযুক্ত আছেন।
বালুরঘাট সাব ডিভিশনের আহ্বায়ক শ্রী রাকেশ কুন্ডু জানিয়েছেন আমাদের জেলায় 29টি সেন্টারে মোট 5404 জন পরীক্ষার্থী এই মেধা অন্বেষণ অভীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। শিশুদের পাশফেল নেই জন্য পড়াশোনার প্রতি অনীহা দূর করতে আমরা নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির বদান্যতায় গত বছর থেকে এই পরীক্ষার আয়োজন করেছি। গতবছর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর তিনটি শ্রেণীর অভীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, এবার দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সারা রাজ্যে এবার প্রায় দুই লক্ষ ষোলো হাজার পরীক্ষার্থী অভীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুরা কাঙ্ক্ষিত মানে কতটা উন্নীত হতে পেরেছে তা সহজেই আমরা অনুধাবন করতে পারব। আমাদের এই মহান কার্যে অন্যান্য সকল সমিতির প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ তাদের মূল্যবান সময় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
পতিরাম বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী দিব্যেন্দু বসাক জানিয়েছেন শিশুদের এই অভীক্ষার মাধ্যমে খুব ভালোভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব। কেননা তাদের পাঠ্যবই ও সাধারণ জ্ঞান খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লেই শিশুদের সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লিখতে সুবিধা হবে। গতবছর থেকে এই অভীক্ষা শুরু হয়েছে, এবছর আমাদের বিদ্যালয়ের 167 জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের এক অভিভাবক বলেন এই শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে খুব ভালো পরীক্ষা হয়। এবছর আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। গতবছর আমার মেয়ে এই জেলাতে চতুর্থ শ্রেণীর টপার হয়েছিল। এজন্য আমি আমাদের স্কুলের শিক্ষক দিব্যেন্দু বাবুকে ধন্যবাদ জানাই। উনি সকল অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন মূল্যবান একটি পরীক্ষায় সকলকে বসবার সুযোগ করে দেন।