আপনার নিউজ ডেক্স:- তদন্তের মাঝে আরজি কর কান্ড বিষয়ে এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (Indira Mukherjee)। সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ডিসি (সেন্ট্রাল) বলেন সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি। যেখানে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই অংশ পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘেরা) করে রেখেছিল। তবে তিলোত্তমার বাবা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় একেবারে মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁদের পরিবারকে সাড়ে তিনটের আগে সেমিনার হলে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য,আরজি কর মেডিকেলের সেমিনার হলে ডাক্তারী পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরই বহু মানুষের উপস্থিতি সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল (R G Kar Viral Video) হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আরজি কর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সেমিনার হলে পুলিশ ছাড়াও বহু লোক ঘোরাঘুরি করছেন। রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী ছাড়াও হাসপাতালের বহু কর্মী, জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা অংশও। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি এভাবেই ঘটনাস্থলে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।
পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, ভিডিওটি সেমিনার হলেরই। কিন্তু ঠিক যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছিল, সেই জায়গা ‘সুরক্ষিত’ই ছিল। সেমিনার হলটি ৫১ ফুট বাই ৩২ ফুটের। যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে ৪০ ফুট এলাকা কর্ডন করে রেখেছিল পুলিশ। বাকি এলাকা খোলা ছিল। সেই ১১ ফুট এলাকাতেই সবাইকে দেখা গিয়েছে। তবে সেখানে কোনও বহিরাগত ছিল না। পুলিশের দাবি, যে ব্যবস্থা ছিল তাতে পুলিশের ঘিরে রাখা অপরাধস্থলে কেউ প্রবেশই করতে পারেনি।
যদিও পুলিশে দেওয়া এই বক্তব্যেকে খন্ডন করে সংবাদমাধ্যমকে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের এত মিথ্যা বলার প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? উনি সব মিথ্যা কথা বলছেন। আমাদের পরিবারের কাউকে সাড়ে তিনটের আগে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানো হয়েছে সিপির ফোন থেকে। আর আমরা যখন ঢুকি সেখানে সিপি ছাড়া আর কেউ ছিল না। সিপি ছাড়া কেউ আমাদের ওইখানে নিয়ে যাননি।”