সুশোভন সিংহ; আপনার নিউজ:- বাংলাদেশ পাশাপাশি গোটা বিশ্বের নজর ছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ের উপরে। অবশেষে ঐতিহাসিক রায় দিলো বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে। দেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেছিল হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকার। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে, সুপ্রিম কোর্টের রায় কিছুটা গিয়েছে হাসিনা সরকারের পক্ষেই।
দেশটিতে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল গোটা বিশ্ব। সরকারপক্ষের সাথে সরাসরি বিরোধিতায় এই পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৩০৫ এর বেশি। বাংলাদেশে শুক্রবার রাত থেকে কার্ফু জারি করেছে সরকার। যা এখনও চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা।
শুনানির পর বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন এএফপিকে বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হাই কোর্টের রায় বেআইনি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য থাকবে আরও দুই শতাংশ সংরক্ষণ।’’
ঘটনা উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল এবং ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ১৯৭২ সাল থেকে এই নিয়ম চলে আসছিল। ৫৬ শতাংশের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল। তবে ২০১৮ সালে সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নির্দেশ জারি করে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং জেলা খাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ।