পুত্রবধুকে যৌন হয়রানি লম্পট শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা, লম্পট শ্বশুর পলাতক
বাংলাদেশ:- মেহেরপুরের গাংনী শহরের থানাপাড়ায় যৌন হয়রানির অপরাধে লম্পট শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুত্রবধু শান্তনা। অভিযুক্ত ব্যক্তি গাংনী থানাপাড়ার মৃত নফর আলীর ছেলে মোঃ হৃদয়। ঘটনাসূত্রে জানা যায় আসামী মোঃ হৃদয় এর ছেলে রাজুর সাথে ৭ বছর আগে শান্তনার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে লম্পট শ্বশুর পুত্রবধুকে কূ-প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি শান্তনা তার স্বামীকে জানায়। শান্তনার স্বামী ঘৃণায় শান্তনাকে নিয়ে গাংনী থানাপাড়ার সাবেক পুলিশ জনৈক জলিলের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। ভুল স্বীকার করে শ্বশুর তার পুত্রবধু ও ছেলেকে নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
কিছুদিন যাবার পর শ্বশুর মোবাইল ফোন ও মুখোমুখি ভাবে আবারো পুত্রবধুকে কু-প্রস্তাব দেয়।
বিষয়টি শান্তনা তার স্বামীকে জানায়, স্বামী মোবাইলে রেকর্ড করতে বলে, মোবাইলে রেকর্ড হয়।
শ্বশুরালয়ে থাকাকালে গত ১৮ আগষ্ট রাত ১১:৪০ মিনিটের সময় শান্তনা প্রকৃতির ডাকে বাড়ীর টিউবওয়েল এর পাশে যায়, পুর্ব থেকে ওঁৎ পেতে বসে থাকা লম্পট শ্বশুর শান্তনাকে ঝাপটিয়ে ধরে শান্তনার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে।শ্বান্তনার চিৎকারে তার স্বামী রাজু ঘর থেকে ছুটে এসে পিতার কার্যকলাপ দেখে।
এঘটনায় শান্তনা মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ আইন ২০০০ সংশোধনী/০৩ এর ১০ ধারায় লম্পট শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ ট্রাইবুনাল মামলাটি এজাহারের নির্দেশ দেন। আসামী মোঃ হৃদয় এলাকা থেকে গাঢাকা দেয়।
এদিকে পিতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় রাজু তার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং বাবার মামলা চালাতে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়ে মারধর করে। ২২ আগষ্ট শান্তনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে যৌতুক আইনে মামলা করেন। মামলায় গত ২৪ আগষ্ট আসামী হৃদয় বিজ্ঞ আদালতে জামিনের আবেদন করে, বিজ্ঞ আদালত আসামীর জামিন আবেদন খারিজ করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্যঃ ২০১৭ সালে আসামী রাজু শান্তনাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে ঐ বিষয়ে শান্তনা নারী নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করে। গ্রাম্য ভাবে মামলা সামাজিক আপোসে ৫ লক্ষ টাকা নির্ধারনে শান্তনা ও রাজুর বিবাহ হয়।